কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ:
কক্সবাজার বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র । এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বিশাল সৈকত এবং শান্ত পরিবেশ দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা প্রদান করে। যদি আপনি কক্সবাজার ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে এই গাইডটি আপনাকে কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের এই গাইডটি ফলো করুন।
১. কক্সবাজার সৈকত
কক্সবাজার সৈকত বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ কিমি। সৈকতের সোনালি বালু এবং স্বচ্ছ পানি পর্যটকদের মুগ্ধ করে। কক্সবাজার সৈকতের সৌন্দর্য আপনার ভ্রমণকে আরো উপভোগ্য করে তুলতে সহযোগীতা করবে বলে আশা করি।
২. ইনানী সৈকত
ইনানী সৈকত, কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৭ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত, যা বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়। কক্সবাজার জেলার পর্যটন সেক্টরে এটি একটি “ইমারজিং টাইগার” হিসাবে পরিচিত, কারণ এটি প্রতিনিয়ত পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। এই সৈকতটি তার সাদা বালু এবং পরিষ্কার পানির জন্য পরিচিত। ইনানী সৈকতের শান্ত পরিবেশ এবং মৃদু ঢেউ একটি চমৎকার বিশ্রামের অনুভূতি দেয়। সৈকতের নিকটবর্তী স্থানীয় খাবার ও সামুদ্রিক রেস্তোরাঁগুলোতে বিভিন্ন রকমের খাবার উপভোগ করা সম্ভব।
৩. হিমছড়ি
হিমছড়ি, কক্সবাজার শহর থেকে ১২ কিমি দূরে অবস্থিত। এখানকার পাহাড়ি দৃশ্য এবং জলপ্রপাত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য প্রেমীদের জন্য একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। হিমছড়ি একদিকে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্যদিকে সবুজ পাহাড়ের সারির মাঝে অবস্থিত। এই উভয় পরিবেশের মিলনে স্থানটি একটি অনন্য প্রাকৃতিক দৃশ্য তৈরি করে। হিমছড়ির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো এর জলপ্রপাত।
৪. সেন্টমার্টিন দ্বীপ
সেন্টমার্টিন দ্বীপ বঙ্গোপসাগরের একটি ছোট দ্বীপ, যা কক্সবাজার থেকে ১২০ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত। সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাদা বালু, স্বচ্ছ জল এবং প্রবাল শৈলী বিশেষভাবে জনপ্রিয়। দ্বীপটির শান্ত পরিবেশ এবং সি-ফুডের অভিজ্ঞতা আপনার ভ্রমণকে আরো উপভোগ্য করে। সেন্ট মার্টিনের সৈকত অত্যন্ত প্রশান্তিদায়ক, যেখানে পর্যটকরা বিশ্রাম নিতে, সাঁতার কাটতে এবং সৈকতে হাঁটতে পারেন।
৫. মহেশখালী দ্বীপ
মহেশখালী দ্বীপ, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের একটি বিশেষ দ্বীপ এবং এটি বাংলাদেশের একমাত্র পার্বত্য দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। দ্বীপটি মহেশখালী উপজেলার অংশ এবং এটি মোট চারটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে সোনাদিয়া, মাতারবাড়ী এবং ধলঘাটা উল্লেখযোগ্য। মহেশখালীর দর্শনীয় স্থানগুলো হলো: সোনাদিয়া দ্বীপ, রাখাইন পাড়া, আদিনাথ মন্দির, বৌদ্ধ কেয়াং, স্বর্ণমন্দির, মৈনাক পর্বত এবং ডলফিন পয়েন্ট উল্লেখযোগ্য। কক্সবাজার দর্শনীয় স্থান সমূহ এর মধ্যে মহেশখালী দ্বীপ আমার প্রিয়, আপনার কোনটি জানাবেন কমেন্টে।
৬. রামু
রামু, কক্সবাজার শহর থেকে ১৬ কিমি দূরে অবস্থিত। বৌদ্ধ মন্দির এবং গ্রামীণ পরিবেশের জন্য রামু বিশেষভাবে পরিচিত। রামুর শান্ত পরিবেশ এবং ঐতিহাসিক মন্দিরগুলি আপনার ভ্রমণকে আরো স্মরণীয় করে তুলতে পারে।
৭. কুতুবদিয়া দ্বীপ
কুতুবদিয়া দ্বীপ, কক্সবাজার শহর থেকে ৫০ কিমি দূরে অবস্থিত। দ্বীপটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশ এখানে ভ্রমণের জন্য একটি আদর্শ স্থান তৈরি করে। এখানে রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
৮. উখিয়া
উখিয়া কক্সবাজারের একটি উপজেলা, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং শান্ত পরিবেশের জন্য পরিচিত। এখানকার জলপ্রপাত এবং নদী দর্শনার্থীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করে।
৯. মেরিন ড্রাইভ
মেরিন ড্রাইভ, কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত নির্মিত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি বিশ্বের দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ। এই রাস্তাটি বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত এবং এটি কক্সবাজারের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে।। এখানে সড়কপথে চলার সময় সমুদ্রের অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়, যা একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
আরও জানুন:কুয়াকাটা হোটেল লিস্ট: কুয়াকাটার সেরা হোটেল ও রিসোর্টের বিস্তারিত তালিকা
১০. প্রবাল দ্বীপ
প্রবাল দ্বীপ কক্সবাজারের কাছাকাছি অবস্থিত একটি দ্বীপ, যা তার প্রবাল শৈলী এবং শান্ত পরিবেশের জন্য পরিচিত। দ্বীপটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য একটি বিশেষ স্থান।
কক্সবাজার এর এসব দর্শনীয় স্থান আপনার ভ্রমণকে বিশেষ করে তুলবে। প্রতিটি স্থান তার নিজস্ব সৌন্দর্য এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এই গাইডটি কক্সবাজারের ভ্রমণ পরিকল্পনায় সহায়ক হবে এবং আপনার সফরকে আরো স্মরণীয় করে তুলবে।
নিচে মন্তব্যে জানাতে ভুলবেন না। আপনার সবগুলো দর্শনীয় স্থানের মধ্যে কোনটি ভালো লেগেছে তা জানাবেন।